করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এবং ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে করণীয়গুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
করোনাভাইরাসের সাব-ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে করণীয়:
1. মাস্ক পরা: জনবহুল স্থান, হাসপাতাল ও গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার করা।
2. হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহার: নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার।
3. টিকা গ্রহণ: বুস্টার ডোজসহ নির্ধারিত টিকাগুলো গ্রহণ করা।
4. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা: ভিড় এড়িয়ে চলা ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা।
5. সর্দি-কাশি হলে সতর্কতা: উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা ও আইসোলেশন পালন।
6. সচেতনতা বৃদ্ধি: গুজব এড়িয়ে সচেতনভাবে তথ্য অনুসরণ ও প্রচার করা।
ডেঙ্গু ও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে করণীয়:
1. জমে থাকা পানি পরিষ্কার: ফুলদানি, গামলা, টায়ার, ফ্রিজের ট্রে—যেখানে পানি জমে, সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা।
2. মশারি ব্যবহার: দিনে ও রাতে মশারি ব্যবহার করা।
3. মশানাশক স্প্রে: ঘর ও আশপাশে মশা নিধনের জন্য স্প্রে ব্যবহার করা।
4. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: বাসা, স্কুল, অফিস ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা।
5. সচেতনতা মূলক প্রচার: স্থানীয়ভাবে জনসচেতনতা তৈরি ও স্কুল/কর্মস্থলে আলোচনা সভা আয়োজন।
6. ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া: জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ।
চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এ ধরনের রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। চাইলে এই বিষয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বা পোস্টার তৈরিতে সাহায্য করতে পারি।
এছাড়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে নির্দেশনা ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনা গুলি মেনে চলি:-
- সারা দেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণাকাজে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
- বারবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
- জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা।
- আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।
- অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।
- হাঁচি-কাশির সময় বাহু অথবা টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা।