আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার এক শক্তিশালী দোয়া

হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিলকখন পড়বেন

হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল পড়ার ফজিলত

মহান আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার এক শক্তিশালী দোয়া

হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি মাল ওয়াকিল কত নং আয়াত?

হাসবি আল্লাহ ওয়া নি মাল ওয়াকিল কখন পড়তে হয়?

হাসবিয়াল্লাহু নি মাল ওয়াকিল দুআ আরবি কি?

অর্থআল্লাহই যথেষ্ট এবং উত্তম সাহায্যকারী

 

দোয়াটি এত গুরুত্বপূর্ণ যে হজরত ইব্রাহিম (.) প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোতে এই দোয়া পড়তেন।

হজরত ইব্রাহিম (: এই দোয়া বা আয়াত পাঠ করে ইসলামের চরম শত্রু নমরুদের অগ্নিকুন্ডলি হতে রক্ষা পেয়েছিলেন।

মানুষের অবস্থা কখনো ভালো , কখনো খারাপ সময় ধেয়ে আসে। তাই যেকোনো বিপদে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা চাই। তাহলে আল্লাহ তাআলা বিপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং শান্তিতে রাখবেন।

যেকোনো বিপদের সম্মুখীন হলে উল্লিখিত দোয়া বেশি বেশি পড়তে পারেন। এটি আলে ইমরানের ১৭৩ নম্বর আয়াতের অংশ এবং সুরা আনফালের ৪০ নম্বর আয়াতের (আবার সুরা হজের ৭৮ নম্বর আয়াত) অংশের মিলিত রূপ।

উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল, নিমাল মাওলা ওয়া নিমান-নাসির

অর্থ : “আল্লাহ তাআলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই হলেন উত্তম কর্মবিধায়ক

আল্লাহ তোমাদের (মুমিনদের) অভিভাবক; (তিনি) কত উত্তম অভিভাবক কত উত্তম সাহায্যকারী

আয়াতগুলো পড়ে দোয়া করলে অবশ্যই সেই দোয়া কবুল হবে। যেকোনো অন্যায়-অত্যাচার-অবিচারের শিকার হলে অথবা অন্যায়ভাবে কারাবন্দি থাকলে নিচে উল্লিখিত আয়াতটি বেশি বেশি পড়বে। আন্তরিকভাবে মুক্তির জন্য দোয়া করবে, তাতে ইনশা আল্লাহ মুক্তি মিলবে।

হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল’-অংশটি কোরআনের আয়াত। এটি পড়ার কথা পবিত্র সহিহ হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। ইবরাহিম (.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হলো এবং রাসুল (সা.) (মুশরিকদের হামলা হবে এমন খবর শুনে হামরাউল আসাদে) উক্ত দোয়াটি পাঠ করেন (বুখারি, হাদিস : ৪৫৬৩; আলে ইমরান, আয়াত : ১৭৩)

এছাড়াও আল্লাহর রাসুল (সা.) এই বিশেষ দোয়াটি পাঠ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৪৩; আল-আহাদিস আস-সাহিহা : ১০৭৯)

আরনিমাল মাওলা ওয়া নিমান নাসিরঅংশটিও কোরআনের আয়াত; আল্লাহর প্রশংসাসূচক। (সুরা আনফাল, আয়াত : ৪০; সুরা হজ, আয়াত : ৭৮)

এটি যেকোনো দোয়ার সঙ্গে যুক্ত করে পাঠ করা যায়, এতে কোনো বাধা নেই। যেকোন দুঃখ, কষ্ট, বিপদ, দুশ্চিন্তায় আল্লাহর উপরে পূর্ণ তাওয়াক্কুল প্রকাশের জন্য এখানে উল্লেখিত উপরোক্ত ইসলামিক দোয়া পাঠ করা যায়। আর এর ফজিলত সওয়াব রয়েছে।

এটি সকলের যেকোন বিপদে মহান আল্লাহর সাহায্য লাভের দোয়াও বটে।

এই আয়াতটি বেশী বেশী পাঠ করার তৌফিক দান করুন।  আমিন।।

Post a Comment

Previous Post Next Post