ঘুম হোক প্রশান্তির

ঘুম আসেনা কেন

শান্তিতে ঘুমানোর উপায়

রাতে ঘুম আসেনা

কি খেলে ঘুম কম হয়

তাড়াতাড়ি ঘুমানো

ঘুম হোক প্রশান্তির

 

রাতদিনের একমাত্র নিয়ন্ত্রক মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা মানুষের আয়ু - জীবন অতিবাহিত হয় রাতদিনের ওপর ভর করে রাত দিন আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন। মহান আল্লাহপাক নিয়মতান্ত্রিক ভাবে দিনের উজ্জ্বল আলো আর রাতের অন্ধকারের প্রকাশ ঘটান।

দিন রাত্রির পরিবর্তন সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তুমি কী দেখ না যে, আল্লাহ রাতকে দিবসে এবং দিবসকে রাতে প্রবেশ করান।’ (সুরা লোকমান, আয়াত : ২৯) ।সৃষ্টির প্রথম থেকে ভাবে চলছে। রাত ফুরাতেই দিন এবং দিনের শেষে রাত হাজির হচ্ছে।

 

এখানে বলা হচ্ছে, রাত ক্রমশ দিনে এবং দিন ক্রমশ রাতে প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাত দিন হয়। প্রসঙ্গত, পৃথিবী গোলাকার বলেই রাতদিন হতে পারে এবং দিন রাত হতে পারে।

 

মহান আল্লাহপাক মানুষের জন্য রাতকে বানিয়েছেন বিছানা এবং দিনের ক্লান্ত দেহের প্রশান্তির নিয়ামক। অস্থিরতা শেষে স্বস্তির ওষুধ। ঘুমের বিশ্রামে মানুষ তথা প্রাণিকূলে সব ক্লান্তি-কসুরে দেহাবয়বে ফিরে পাই পূর্ণ উদ্যমতা চঞ্চলতা।

 

মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাদের বিশ্রামের জন্য নিদ্রা দিয়েছি, তোমাদের জন্য রাতকে করেছি আবরণস্বরূপ, আর দিনকে বানিয়েছি তোমাদের কাজের জন্য।’ (সুরা নাবা, আয়াত : -১১)

 

আল্লাহতায়ালা আরো বলেন, ‘আর তিনি রাতকে মানুষের প্রশান্তির উপায় হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ৯৬)

 

আল্লাহ রাতকে ঘুমানোর মানুষের কল্যাণে বিছানা বানালেও আজকের আধুনিক সমাজ অকারণে দেরি করে - কালক্ষেপণ করে ঘুমায়। অহেতুক রাত জেগে মানুষকে চিন্তা-চেতনায়, মননে শরীরে অসুস্থ করে তোলে। জীবন থেকে কেড়ে নেয় কর্মোদ্যোগী শক্তি। ঘুমের অভাবে ডায়াবেটিস হার্টের অসুখের ঝুঁকিসহ শরীর দুর্বল, মেজাজ খিটখিটে হয়ে ব্যক্তি, পারিবারিক জনজীবনে অশান্তি দেখা দেয়।

 

তাই মানুষের কল্যাণ রয়েছে রাতে ঘুমানোর মধ্যে। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শরীরের ওজন ঠিক নিয়ন্ত্রণে থাকে। কাজকর্মে উদ্যমতা সৃষ্টিশীলতা আনয়নে সহায়তা করে। মন-মস্তিষ্ক ভালো থাকে। চেহারার সৌন্দর্য বাড়ে।

 

ঘুম কম হলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, কর্মক্ষমতা হারানো সহ অনেক সমস্যায় ভুগেন। নিদ্রাকালীন শ্বাসরুদ্ধতা (স্লিপ অ্যাপনিয়া) নাক ডাকার অন্যতম কারণ, এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। যাঁদের নাক ডাকে, তাঁদের দিনের বেলায় ঘুমঘুম ভাব থাকে, তাঁদের স্মৃতি বিভ্রম হয়, তাঁদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়, তাঁরা বদমেজাজি হন, তাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। কম ঘুমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, হজমের সমস্যা, হৃদরোগের ঝুঁকি, হতাশা, ওজন বৃদ্ধি এমনকি চোখের সমস্যাও হতে পারে।

 

ধূমপান মদ্য পান কমালে ঘুম ভালো হয়। রাতে খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে যাওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘুমকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত। পূর্ণবয়স্ক মানুষের কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার এক টানা গভীর ঘুম দরকার।

 

রাতে ঘুমানোর জন্য ইসলাম কিছু সুন্দর নিয়ম-কানুন দিয়েছে। ঘুমানোর পূর্বে অজু করা, ডান কাতে শোয়া যা হৃৎপি-কে ভালো রাখে। ঘুমের আগে দোয়া পাঠ করা ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর মিসওয়াক করার কথা বলেছেন প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.)

 

দৈহিক মানসিক প্রশান্তির জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থতা বজায় রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই।

English Version 

Post a Comment

Previous Post Next Post